বাইশে প্রিমিয়ার ব্যাংক: বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এইচ.বি.এম. ইকবালের দীর্ঘ উদ্যোক্তা জীবন কাম্য…

0
720
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৯ সালে ২৬ অক্টোবর প্রিমিয়ার ব্যাংকের শুভ উদ্বোধন করেন এবং ব্যাংকের চেয়ারম্যান ডা. এইচ. বি. এম ইকবাল তৎকালীন অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়াকে ইকবাল সেন্টারে অবস্থিত বনানী কর্পোরেট শাখার উদ্বোধনী স্বারক হস্তান্তর করেন। পাশে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. ফরাস উদ্দীন আহমেদ, ব্যাংকের তৎকালীন উপদেষ্টা, এমডিসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন ।- ফাইল ফটো।

বাংলাদেশ ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সেবাখাতসহ শিল্পায়ন সকল ক্ষেত্রেই লক্ষ্যণীয় উন্নয়ন। তবে দেশের এগিয়ে যাওয়ার পেছনে সরকারের অংশগ্রহণের চেয়েও বেসরকারি খাতের অবদান বেশি। এই বেসরকারি খাতেরই একজন আলোকিত উদ্যোক্তা ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক সৈনিক ডা. এইচ.বি.এম. ইকবাল। তাঁর প্রতিষ্ঠিত ব্যাংক দি প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড একুশ বছর পেরিয়ে বাইশ বছরে পদার্পণ করল আজ। দেশের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ও বাণিজ্য সফল এ প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৯ সালের ২৬ অক্টোবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ব্যাংকটির শুভ উদ্বোধন করেন। বেসরকারি খাতের অন্যতম শীর্ষ ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান তিনি।

পাঁচ তারকা হোটেল “রেনেসন্স ঢাকা গুলশান হোটেল এর উদ্বোধনী পর্ব।- আর্কাইভ ছবি।

এই ব্যাংকটি শুরু থেকেই শুধু মুনাফার দিকেই জোর দেয়নি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক সৈনিক ডা. এইচ.বি.এম. ইকবাল-এর নিজস্ব উদ্যোগে হত দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। সৃজনশীল এই মানুষটি একজন চিকিৎসক হয়েও ব্যবসা-বাণিজ্যের ভিন্ন ভিন্ন ধারায় ব্যাপকভাবে প্রতিষ্ঠা লাভে সক্ষম হয়েছেন। এই কৃতি উদ্যোক্তা ব্যক্তিত্ব দেশের উন্নয়ন ও ভাবমূর্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঢাকায় আন্তর্জাতিক হোটেল ম্যারিয়টস-এর চেইন রেনেসন্স ঢাকা গুলশান হোটেল প্রতিষ্ঠা করেছেন।এই হোটেলটি আন্তর্জাতিক মানের দিক থেকে ইতোমধ্যে সুনাম কুড়িয়েছে। এটি শুধু দেশের সেবা খাতকেই সমৃদ্ধ করেনিÑবাংলাদেশের ভাবমূর্তিকেও সমুজ্জ্বল করেছে।

তারকা উদ্যেক্তা ব্যক্তিত্ব ডা. এইচ. বি. এম. ইকবাল এর সঙ্গে দুই পুত্র মঈন ইকবাল ও মুহাম্মদ ইমরান ইকবাল – আর্কাইভ ছবি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এইচ.বি.এম. ইকবাল মনে করেন, বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ যা সহস্র বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধারা সরাসরি যুদ্ধ করে এই দেশকে বিশ্বের মানচিত্রে ঠাঁই করে দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু সব সময়েই সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতেন সেই স্বপ্ন শুধু বক্তৃতা দিয়ে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। এ জন্যে কাজ করা প্রয়োজন। তিনি মনে করেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে নেই সত্য, কিন্তু তার আদর্শিক সৈনিকেরা বেঁচে আছেন, তারা তাঁর স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্যে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। মূলত: ডা. এইচ.বি.এম. ইকবাল তাঁর কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের একজন নিবেদিতপ্রাণ সৈনিক।মানবদরদী, উন্নয়ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী এবং শিক্ষানুরাগী ডা. এইচ.বি.এম. ইকবাল ইতোমধ্যে যতো উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তার সবই বাস্তবায়ন ঘটেছে। ইতোমধ্যে নিজ জন্ম এলাকা ভৈরবের বাশগাড়িতে একটি বিশাল শিক্ষা নগরী প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার শিক্ষা উদ্যোগের মাধ্যমে প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী গ্রামে থেকেই উচ্চ শিক্ষার সুযোগ লাভ করছে। তার ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে। অর্থাৎ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আলোকে কাজ করে যাচ্ছেন, যা বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করবেই।

প্রিমিয়ার ব্যাংক একুশ পেরিয়ে বাইশ বছরে পদার্পণের এই মাহেন্দ্রক্ষণে Arthokotha-The National Business Magazine of Bangladesh‘র পক্ষ থেকে সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষা বাতিঘরের উদ্যোক্তা ডা. এইচ.বি.এম. ইকবালকে অকৃত্রিম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। তাঁর উদ্যোক্তা জীবন দীর্ঘজীবী হোক।

© হাফিজ রহমান, নির্বাহী সম্পাদক, অর্থকথা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here