ভোটের অধিকার এনে দিয়েছি, সেবা করার সুযোগ দিন: সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ

0
303

সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের নেতারা বলেন, এবারও সিলেকশনের মাধ্যমে পরিচালক নির্বাচনের প্রক্রিয়া ও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল। কিন্তু সব জিবি মেম্বারের প্রাণের দাবি নির্বাচন। সম্মানিত সদস্যদের দাবির মুখে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ সিলেশন নয়, বরং ইলেকশন বা নির্বাচন চেয়ে আসছে। আমরাও নির্বাচন চাই। আর এ কারণেই এবার সব ধরনের ষড়যন্ত্র, বাধা বিপত্তি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নির্বাচনের পথ সুগম হয়েছে। নির্বাচনী প্রস্তুতিতে রয়েছে নির্বাচনী বোর্ড। ভোটাররা এখন নেতা নির্বাচনে ভোট দিতে মুখিয়ে আছেন। 

নেতারা আরও বলেন, আসন্ন এফবিসিসিআই নির্বাচনে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ বিজয়ী হলে নির্বাচনের এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। মেয়াদ শেষে সিলেকশন নয়, বরং ইলেকশনই হবে। আর যদি এই পরিষদ হেরে যায় ভবিষ্যতে আর এফবিসিসিআইতে নির্বাচন হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ তারা আর নির্বাচনের পথে হাঁটবেন না। এই বাস্তবতা মেনেই আসন্ন এফবিসিসিআই  নির্বাচনে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের পক্ষে ভোট দেওয়ার দাবি জানান ব্যবসায়ী নেতারা।

প্রার্থী পরিচিতি সভার শুরুতেই প্যানেল লিডার মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ সাধারণ সদস্য বা জিবি মেম্বারদের স্বাগত জানিয়ে অনুষ্ঠানে আসার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এর আগে ক্লাবের মূলগেটে ফুল দিয়ে সদস্যদের বরণ করে নেওয়া হয়। প্রার্থীরা ওই সময় সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন, তাঁদের খোঁজ-খবর নেন ও ভোট প্রার্থনা করেন।

প্যানেল লিডার মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের সব প্রার্থীকে এক এক করে তাদের পরিচিতি ভোটারদের কাছে তুলে ধরেন। কেন কিংবা কি প্রয়োজনে প্রার্থীদের নির্বাচিত করবেন, সেই বিষয়েও ব্যখ্যা দেন তিনি। প্যানেল লিডার আরও বলেন, খাতভিত্তিক প্রকৃত ব্যবসায়ীরা সম্মিলিত পরিষদে প্রার্থী হয়েছেন। যারা দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। সম্মিলিত পরিষদ স্মার্ট এফবিসিসিআই ও স্মার্ট অর্থনীতি গড়তে সরকারকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।

এদিকে, জিবি মেম্বাররা বলেছেন, ইতোপূর্বে এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচনী কোনো অনুষ্ঠানে এত সংখ্যক ভোটারের উপস্থিত দেখা যায়নি। প্রায় ১৪০০ মেম্বার স্বতঃস্ফূর্তভাবে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। অনুষ্ঠান শেষে তাঁরা নৈশভোজে মিলিত হোন। 

সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ থেকে যারা প্রার্থী হচ্ছেন, তাঁরা হলেন- মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ (আহবায়ক),  মুনতাকিম আশরাফ (যুগ্ম আহবায়ক), নিজাম উদ্দিন রাজেশ (যুগ্ম আহবায়ক), মোহাম্মদ ইকবাল মাহমুদ, হাফিজ হাজী মো. এনায়েত উল্লাহ, হাজী মো. আবুল হাশেম, মোহাম্মদ রবিউল হক বাদশা, সাইফুর রহমান, মোহম্মদ ইসহাকুল হোসেন সুইট, জাকির হোসেন রনি, মোহাম্মদ. রকিবুল আলম, মোস্তফা আল মাহমুদ, মোহাম্মদ মারুফ আহমেদ, মো. লোকমান হোসেন আকাশ, সৈয়দ মোহাম্মদ বখতিয়ার, ইঞ্জিনিয়ার মো. ইসমাইল করিম চৌধুরী, তপন কুমার মজুমদার, মোহাম্মদ আফতাব জাভেদ, মো. শহিদুল হক মোল্যা, শেখ আহমেদ উল্লাহ, সালমা হোসেন অ্যাশ, সিরাজুল ইসলাম, বিএম শোয়েব, ডা. মাহবুব হাফিজ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here