দেশব্যাপী করোনা ভ্যাকসিন প্রদানের পঞ্চম দিনে গত ১১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০:৪৫
মিনিটে জাতীয় নাক-কান-গলা (ইএনটি) ইনস্টিটিউটে করোনার ভ্যাকসিন নিলেন প্রিমিয়ার ব্যাংকের
পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, সাবেক সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ এইচ. বি. এম. ইকবাল।
ভ্যাকসিন গ্রহণ শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ এইচ. বি. এম. ইকবাল বলেন, দেশে প্রাণঘাতি
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই মাঠে সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে সার্বিক দায়িত্ব
পালন করে গেছেন ব্যাংকাররা। সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে ব্যাংকাররা এ ভ্যাকসিন পাচ্ছে। করোনার
ভ্যাকসিন নিলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে এটা ভ্রান্ত ধারণা। ব্যাংকারদের মধ্যে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে
যেন কোন প্রকার সংশয় সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আমি করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছি।
ডাঃ এইচ. বি. এম. ইকবাল আরো বলেন, ভ্যাকসিন গ্রহণের পর কোন অসুবিধা বোধ করছিনা। এটা একটা
মানসিক বিষয়। আপনি মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকলে এটি অন্যান্য ভ্যাকসিনের মতোই স্বাভাবিক। আমি
সকলকে অনুরোধ করবো ভ্যাকসিন গ্রহণ করার জন্য। বিশ্ব মহামারি কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সকলের
করোনার ভ্যাকসিন নেয়া উচিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে ডাঃ এইচ. বি. এম. ইকবাল বলেন, সারা বিশ্বে মাত্র ২০ থেকে ২২টি দেশ করোনার ভ্যাকসিন পাচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতায় আজকে আমরা দ্রুত এ ভ্যাকসিন নিতে পারছি। তাঁর যুগান্তকারী
সিদ্ধান্তের কারণে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হয়েছে।
ভ্যাকসিন নেয়া প্রসঙ্গে প্রিমিয়ার ব্যাংকের হেড অব ব্র্যান্ড মার্কেটিং প্রধান মো. তারেক উদ্দিন বলেন, প্রিমিয়ার ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, দেশখ্যাত উদ্যোক্তা ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এইচ. বি. এম. ইকবাল, এক ঐতিহাসিক কাজ করলেন। কারন, তাঁর এই পদক্ষেপ ব্যাংকের সকল কর্মকর্তা ও কর্মীরা ভ্যাকসিন নিতে উৎসাহী হবেন। যেমনটা করোনা মহামারি চলাকালেও তিনি ব্যাংকের কর্মীদের কাজে সাহস যুগিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, আমরা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে মানচিত্র এনেছি। আপনাদের করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হয়ে দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে হবে। দেশের অর্থনীতি বাঁচলেই মানুষ বাঁচবে। তাঁর এই সাহসী উচ্চারণ হৃদয়ে ধারণ করেই আমরা করোনার মধ্যেও নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করেছি। অর্থাৎ করোনা জয় করেই প্রিমিয়ার ব্যাংক দেশের স্বার্থে কাজ করে চলেছে…।