করোনা দুঃসময়ে শুধু টাকা থাকলেই কেউ ক্রান্তিকালের কাণ্ডারি হতে পারছেন তা নয়। আমি দেশের এমনসব মানুষকে চিনি, যাঁদের অনেকেই কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক। কিন্তু হৃদয় নেই বলে তারা কখনো মানুষের পাশে এসে দাঁড়াতে পারার চেষ্টাও করেন না! কে জানে এসব ধনপতি কি উপায়ে তাদের টাকা কড়ি কবরে নিয়ে যাবেন! এমনসব বদনসীব মানুষের ভীড়ে এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রম আমার প্রাণবন্ধু Habib Ullah Dawn! ওঁকে নিয়ে আমি অসংখ্যবার লিখেছি, বহু মানুষ ঈর্ষায় ফেটে পড়ে, কেন আমি এতবার ডনকে নিয়ে লিখি, কেন তাঁর এতো গুনের কথা তুলে ধরি?
ডনের জীবনের প্রথম টেলিভিশন সাক্ষাতকার আমার মানিটক অনুষ্ঠানে, ম্যাগাজিনে প্রথম প্রচ্ছদ ব্যক্তিত্ব হওয়া আমার অর্থকথা’য়, ওঁকে ট্রেন্ডসেটার অভিধায় ভূষিত করেছি আমি, সুতরাং ডন ও আমার কেমিস্ট্রি নিয়ে ‘কুছ তো লোগ কাহেঙ্গে’ হতেই পারে! ঈর্ষাকাতর মানুষেরা ঈর্ষা নিয়ে থাক, আমরা আমাদের কাজ করি। ডনের একটি গোপন দানের কথা বলি, কেউ একজন এসে খবর দিলো, তার খুব ঘনিষ্ঠ কেউ, যেমন মা বাবা ভাই অথবা বোন হাসপাতালে মরনাপন্ন। ডন ওঁর একজন ম্যানেজার পাঠিয়ে ওই ঘটনার সত্যতা যাচাই করায় খুব দ্রুত। তারপর ওই রোগীর চিকিৎসা খরচ বহন করে। একাজ ডন করে আসছে গত ২০ বছরের বেশি সময় ধরে। একাজে কত অর্থ সে ব্যয় করেছে তার হিসাব নেই। সুদ খায়না আমার এ বন্ধুটি! যাকাতের টাকা পাই পাই হিসেব করে দান করে। ধর্মপ্রাণ অথচ আধুনিক মানুষের প্রতিকৃতি ডন। সারাবছর দানের উপর থাকে ডন, কিন্তু কোনো প্রচার করেনা। এবারের করোনা করাল গ্রাসে লাখ লাখ কম আয়ের মানুষ ও মধ্যবিত্ত পরিবার খাওয়ার কষ্টে আছেন। এমন পরিবারের সাহায্যে ডন গোপনে কাজ করে চলেছে। ওঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এ এম গ্রুপ থেকেতো ত্রাণ কাজ আছেই, বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানকে অর্থ বরাদ্দ করছে ডন। মানুষ তাই এই নীরব সেবক মানুষটির জন্যে দোয়া করে আল্লাহ’র দরবারে।
প্রিয় বন্ধুরা, সংকটে বা বিপদে মানুষের মনুষ্যত্বের পরিচয় পাওয়া যায়। বিশ্বের সঙ্গে আমাদের দেশেও চলছে করোনা নামক এই মহাবিপদের ভয়াবহ সংকট। আর এই সংকটে আমরা পাচ্ছি ডনের মত ক্রান্তিকালের কাণ্ডারিদের। আল্লাহ সুবহান ডন, ডনের পরিবার ওঁ তাঁর ব্যবসা গ্রুপের সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল করুন, আমীন, সুম্মাহ আমীন…
© সৈয়দ রানা মুস্তফী • চেয়ারম্যান, অর্থকথা-মাদারল্যান্ড গ্রুপ