দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ৬ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে। এর মধ্যে ২ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে প্রণোদনা প্যাকেজ সংক্রান্ত কর্মসূচিতে। সব মিলিয়ে রাজস্ব আয় হয়েছে ৩ ট্রিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ ঘাটতিও হয়ে গেছে ৩ ট্রিলিয়ন ডলার।
এর আগেও ২০০৯ সালের বড় ধরনের বাজেট ঘাটতির মুখে পড়েছিল আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র। তবে এবার ওই রেকর্ড ছাপিয়ে গেছ। ১১ মাসেই সেই ঘাটতির দ্বিগুণ হয়েছে। ২০০৯ সালে আবাসন খাত থেকে শুরু হওয়া ওই অর্থনৈতিক সংকট সামলাতে গিয়ে বেসামাল হয় যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে লাগে কয়েক বছর।
অবশ্য মহামারির আগেই চলতি অর্থবছর ১ ট্রিলিয়ন ডলার বাজেট ঘাটতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। যা কিনা যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি ছিল।
কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস চলতি মাসে পূর্বাভাস দিয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্রের পুরো বছরের ঘাটতি ৩ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার হবে। যা গত বছর রেকর্ড করা ঘাটতির চেয়ে তিনগুণ বেশি। ফেডারেল সরকারের আর্থিক বছর শেষ হয় সেপ্টেম্বরে। সংস্থাটি বলেছে মার্কিন ঋণ ২৬ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বরে আশঙ্কা করছে তারা। গত এপ্রিল-জুনে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সংকুচিত হয় ৩০ শতাংশেরও বেশি। দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয় বলছে গত সপ্তাহ পর্যন্ত আনুমানিক শ্রমশক্তির প্রায় ২০ শতাংশই বেকারভাতা নিচ্ছে। অর্থাৎ প্রায় ৩ কোটি মানুষ।