সময়ের ধারাক্রমে দেশের অনেক নারীই নিজেদের মেধা, যোগ্যতা এবং কর্মসুবাদে উদ্যোক্তা ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন তাদেরই একজন বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. মমতাজ বেগম। তিনি বাংলাদেশের ব্যবসা অঙ্গনের শীর্ষ পর্যায়ের শিল্প-বাণিজ্য গ্রুপ প্রিমিয়ার গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান।
প্রিমিয়ার গ্রুপের শীর্ষ পর্যায়ের দায়িত্বে নিয়োজিত ডা. মমতাজ বেগম এর জন্ম এক শিক্ষিত অভিজাত পরিবারে। তাঁর পিতা মরহুম আবু তৈয়ব এবং মা মরহুম আলহাজ আনোয়ারা বেগম। ছোটবেলা থেকেই দারুণ মেধাবী মমতাজ বেগম কৃতিত্বের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন এবং দীর্ঘ সময় চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।
চিকিৎসা পেশা থেকে অবসর নেয়ার পর নিজেদের পারিবারিক শিল্প-বাণিজ্য সাম্রাজ্যের সাথে যুক্ত হন। কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায় ‘এই পৃথিবীতে যা কিছু কল্যাণকর অর্ধেক তার গড়িয়াছে নারী অর্ধেক তার নর’। ঠিকই একইভাবে বলা যায় দেশখ্যাত শিল্প-বাণিজ্য গ্রুপ হিসেবে প্রিমিয়ার গ্রুপের এই যে ব্যপ্তি, এই যে বিস্তৃতি ও সাফল্য একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এইচ.বি.এম. ইকবালের সহযোদ্ধা ও রানিংমেট হিসেবে তাঁর স্ত্রী ডা. মমতাজ বেগমের ভূমিকা ও অবদান অবিস্মরণীয়। চিন্তা চেতনায়, মেধা ও মননে আধুনিক এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ডা. মমতাজ বেগম নিজের কাজকে কখনো ছোট মনে করেন না। বরং কাজকে করতে পারাকে গর্বের সাথে অনুভব করেন।
ব্যবসা-বাণিজ্য অঙ্গনের উজ্জ্বল নারী তারকা ডা. মমতাজ বেগম প্রিমিয়ার গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য যেসব দায়িত্বে নিয়োজিত সেগুলো হলো তিনি প্রিমিয়ার হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট লি. (পাঁচ তারকা অ্যামেরিকান চেইন হোটেল হিলটন), প্রিমিয়ার হোটেল ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লি. (পাঁচ তারকা অ্যামেরিকান চেইন হোটেল রেনেসন্স ঢাকা গুলশান)-এর ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি শিক্ষা ক্ষেত্রেও রেখে চলেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তিনি দেশের অন্যতম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা (আরইউডি) এর প্রতিষ্ঠাতাদের একজন এবং এর বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারপার্সন।
বিদুষী রমণী ডা. মমতাজ বেগম গালফ মেডিকেল সেন্টার এবং বুখারা রেস্টুরেন্ট (প্রা.) লি.-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর। এছাড়া তিনি সেন্টর লি. নওরীন ইলেকট্রনিক্স লি., বেঙ্গল টাইগার সিমেন্ট ইন্ডা. লি., এয়ার কনসার্ন ইন্টারন্যাশনাল লি. এর পরিচালক। তিনি বিকন ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনাল লি. এর চেয়ারম্যান।
ব্যবসা-বাণিজ্য অঙ্গনের সফল নারী উদ্যোক্তা বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. মমতাজ বেগম বরাবরই একজন প্রচারবিমুখ উদ্যোক্তা ব্যক্তিত্ব। তিনি মনে করেন, নিষ্ঠার সাথে সৎ উদ্যোগ এবং ভালো কাজে অংশ নেয়া ইবাদতের সামিল। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যে সকল উদ্যোক্তা ব্যক্তিত্বের অবদান অনস্বীকার্য তাদেরই একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এইচ. বি. এম. ইকবাল। স্বাধীনতার এই বীর যোদ্ধা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় নিরন্তর কর্মপ্রবাহ বজায় রেখেছেন। তাঁর দূরদর্শিতার ফলেই প্রিমিয়ার গ্রুপ ব্যাংক, বীমা, শিল্প-বাণিজ্য এমনকি পাঁচ তারকা হোটেল প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এই মানুষটি প্রকৃত অর্থেই একজন মুক্তিযোদ্ধা। কারণ, স্বাধীনতা লাভের মধ্যেই মুক্তিযোদ্ধাদের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না, সে দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্যও লড়াই করতে হয়। সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. এইচ.বি.এম. ইকবাল সেভাবেই একটি উন্নত সোনার দেশ প্রতিষ্ঠায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। ডা. মমতাজ বেগম প্রিমিয়ার ফাউন্ডেশনের গভর্নিং বডির সদস্য।