মানুষ মৃত্যু পর্যন্ত সামান্য সম্পদও মুহূর্তের জন্যে হাতছাড়া করেনা। দূরবর্তী কোন সম্ভাবনাকেও বাদ দেয় না হিসাব থেকে! সেখানে চলমান কোন লাভজনক ব্যবসা বাণিজ্য হলে তো কথাই নেই, বুকে আঁকড়ে ধরে রাখতে চায় কবর পর্যন্ত! তবে বিরল বা সুদুর্লভ হলেও এক আধজন মানুষ মেলে যারা সত্যিকারের আত্মত্যাগী হন। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান শাহ্ আলম সেই বিরল ও সুদুর্লভ ব্যক্তিদের অন্যতম।
![](https://arthokotha.com.bd/wp-content/uploads/2020/11/94148007_10223003864624774_6418081978167328768_n-1-1.jpg)
![](https://arthokotha.com.bd/wp-content/uploads/2020/11/94043995_10223003865784803_6940606763095818240_n-1.jpg)
করোনার মহা সংকটের এই কালো সময়ে দেবদূতের মত দ্যুতিময় হয়ে নিজেকে হাজির করেছেন তিনি জাতির সামনে। বসুন্ধরা গ্রুপের লাভজনক ব্যবসাগুলোর শীর্ষে থাকা যে আইসিসিবি বা কনভেনশন সিটি, সেই একগুচ্ছ কনভেনশন সেন্টার করোনা দুঃসময়ে জাতির সেবায় তুলে দিয়েছেন সরকারের হাতে। দেড় লাখ স্কয়ার ফুট এলাকার এই সিটিতে বসেছে পৃথিবীর বৃহত্তম তাঁবু বা টেন্ট, সেখানে এখন দেশের এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ হাসপাতাল যা শুধুমাত্র নিবেদিত করোনার জন্যে। প্রথম পর্যায়ে ২০০ হাজার শয্যা, তাঁর পরপরই আরও এক হাজার শয্যা, আইসোলেশন, আইসিইউ, ডাক্তারদের ওয়ার্কস্টেশন ইত্যাদি মিলিয়ে এলাহি কর্মযজ্ঞ। হাসপাতালে মোট আইসোলেশন বেড ২ হাজার ১৩টি। ট্রেড সেন্টারে ছয় ক্লাস্টারে ১ হাজার ৪৮৮টি বেড। এ ছাড়া তিনটি কনভেনশন হলে আরও ৫২৫টি বেড। এর বাইরে ৪ নম্বর হলে ৭১ বেডের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)। প্রয়োজনে এই বিশাল হাসপাতাল ৫ হাজার শয্যায় পরিণত করা যাবে। গ্রুপ এমডি Sayem Sobhan Anvir রাতদিন তত্ত্বাবধান করছেন। এই মহান কর্মযজ্ঞে তাঁর অন্য ভাইরাও সাথে আছেন অতন্দ্র প্রহরীর মত। সবার উপরে মাথার মুকুট হয়ে আছেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান শাহ্ আলম। একটি করপোরেট গ্রুপ হিসেবে মানুষের সঙ্গে মানসিক সম্পৃক্ততা থেকেই বসুন্ধরা গ্রুপ এমন একটি মহৎ কাজে এগিয়ে এসেছে।
© সৈয়দ রানা মুস্তফী • চেয়ারম্যান, অর্থকথা-মাদারল্যান্ড গ্রুপ