এম. ওসমান সিদ্দিকঃ হোয়াইট হাউসে শুরু হলো প্রথম বাংলাদেশীর দৃপ্ত পদচারণা…

এম. ওসমান সিদ্দিক

বাংলাদেশী-অ্যামেরিকান রাজনীতিবিদ, কৃতি লেখক ও অ্যাম্বাসেডর এম. ওসমান সিদ্দিককে প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট জো বাইডেন তাঁর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক অ্যাডভাইজার নিয়োগ করেছেন। পূর্ণ মন্ত্রীর সম্মান, মর্যাদা ও সুযোগ সুবিধায় ওসমান সিদ্দিক প্রথম বাংলাদেশী যিনি উচ্চ এপদে নিয়োগ পেলেন। মুহাম্মদ ওসমান সিদ্দিক, যাঁর ডাক নাম হারুন, তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ন্যাশনাল কমিটিতে (ডিএনসি) ট্রাস্টি হিসেবে আছেন কয়েক দশক ধরে। প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন ১৯৯৯ সালে এম. ওসমান সিদ্দিককে ফিজি প্রজাতন্ত্র, নাউরু প্রজাতন্ত্র, কিংডম অফ টোংগো এবং টুভালুতে অ্যামেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাম্বাসেডর নিয়োগ করেছিলেন।

অ্যামেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম রাষ্ট্রদূত হিসেবে তাঁর সে নিয়োগও ছিলো একটি ঐতিহাসিক মাইল ফলক। প্রেসিডেন্ট ক্লিন্টনের স্মরণীয় বাংলাদেশ ও ভারত সফরে তাঁর ক্যাবিনেট ডেলিগেশনের অন্যতম সদস্য হিসেবে সম্মানিত হয়েছিলেন মি. ওসমান সিদ্দিক। বাংলাদেশ সফরে এসে সমাজ-অর্থনীতির দেশসেরা ম্যাগাজিন ‘অর্থকথাা’র জন্যে আমার সঙ্গে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে মিলিত হয়েছিলেন তিনি। কোনো বাংলাদেশী সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সেটিই ছিলো মি. সিদ্দিকের প্রথম সাক্ষাৎকার। এম. ওসমান সিদ্দিক ১৯৫০ সালে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নটরডেম কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রী অর্জন করেন। অ্যামেরিকান নাগরিক ক্যাথরিন ম্যারি তাঁর স্ত্রী। এ দম্পতির চার সন্তান। এরা হলেনঃ উমার, জুলিয়েন, লেইলা ও জ্যাকারি।ব্যক্তিগতভাবে এম. ওসমান সিদ্দিক হারুন ভাই আমার অত্যন্ত ঘনিষ্টজন। তাঁর এই বিরল অর্জনে তাঁকে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভ কামনা।

© সৈয়দ রানা মুস্তফী • চেয়ারম্যান, Motherland Party

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here